বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি : দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস প্রস্তুত ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এসএম নজরুল ইসলাম মারা গেছেন।রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে রোববার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বাংলাদেশের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ নজরুল ইসলামের মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। তিনি স্ত্রী, ৫ পুত্র, ২ মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সোমবার সকাল ১০টায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ওয়ালটন গ্রুপের করপোরেট অফিসে (প্লট-১০৮৮, রোড- ৮০ফিট-২, ব্লক-আই, বসুন্ধরা আ/এ) মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১১টায় গাজীপুরের চন্দ্রায় অবস্থিত ওয়ালটন ফ্যাক্টরিতে মরহুমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা এবং বাদ আসর টাঙ্গাইলের গোসাইজোয়াইরে তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এসএম নজরুল ইসলাম ৭ মে ১৯২৪ সালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গোসাই জোয়াইর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম এসএম আতাহার আলী তালুকদার এবং মাতার নাম মোসাম্মৎ শামছুন নাহার।
মরহুমের বড় ছেলে ওয়ালটন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এসএম নূরুল আলম রেজভী দেশবাসীর কাছে বাবার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
দেশের মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে ইলেকট্রনিক্স পণ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে এসএম নজরুল ইসলাম ১৯৭৭ সালে ওয়ালটন গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। তার দূরদর্শিতা ও সুযোগ্য পরিচালনায় ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা ওয়ালটন পণ্যের সুনাম ও খ্যাতি আজ দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।
এছাড়া তিনি আর্থ-সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিজেকে নিয়োজিত করেন। তিনি টাঙ্গাইল জেলা সমবায় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, টাঙ্গাইল জেলা সার ডিলার সমিতির সভাপতি, টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের পরিচালক এবং টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় জমি বন্ধকি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি তার গ্রামে এসএম নজরুল ইসলাম কারিগরি বিদ্যালয় নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়া, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এতিমখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত সাহায্য-সহযোগিতা দিতেন। তিনি গ্রামের দুস্থ, বৃদ্ধ ও মহিলাদের জন্য বয়স্কভাতা প্রকল্প চালু করেন।